ঢাকা,রোববার, ৫ মে ২০২৪

পেকুয়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারে সরকারি কর্মকর্তা!

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::  কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের আসন্ন ইউপি নির্বাচনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনে কর্মরত এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম মোহাম্মদ মুবিনুল হক। তিনি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনে মগনামা ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক পদে কর্মরত রয়েছে। তার বাড়ি মগনামা ইউনিয়নের হারুন মাতবর পাড়া গ্রামে।

তার বিরুদ্ধে রির্টানিং কর্মকর্তা ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরেরর ডিজি, কক্সবাজার জেলার উপ পরিচালক (ডিডি) এর দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মগনামা ইউনিয়নের এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। এছাড়াও ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিকদের কাছে লিখিতভাবেও বিষয়টি জানিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, মগনামা ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মোহাম্মদ মুবিনুল হক গত ২৮/১০/২০২১ ইংরেজী তারিখ বিকালে মগনামা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমের বাড়ির উঠানে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় মঞ্চে চেয়ারম্যানের পাশে উপস্থিত ছিলেন। যা নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘনের আওতায় পড়ে।

নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার ১১ (২) ধারায় বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন পূর্ব সময় কোন প্রকার মিছিল বা কোন শো-ডাউন করা যাবে না। এছাড়াও নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ২২ (১) ধারায় বলা হয়েছে সরকারী সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না।’

অথচ নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ থাকা সত্বেও গতকাল ২৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে দুপুরে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মুবিনুল হক মগনামা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াসিমের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। তিনি নির্বাচনী সভায় অংশগ্রহণ করে বিধিমালার দুটি আইন লঙ্ঘন করায় তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ডিজি ও কক্সবাজারের ডিডিসহ সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে স্থানীয়রাও জোরালো দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানার জন্য মগনামা ইউনিয়নে কর্মরত পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মোহাম্মদ মুবিনুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোভিট টিকা সংক্রান্ত একটি কাজে চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। চেয়ারম্যানের অনুরোধে নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়েছি। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়াটা নিজের ভূল হয়েছে বলেও তিনি স্বীকার করেছেন।

পাঠকের মতামত: